নরেন্দ্রপুর: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বড় সাফল্য পেল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গাঁজা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নরেন্দ্রপুর থানা ও বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে গ্রেফতার করা হল দুই যুবককে। ধৃতদের নাম লব মন্ডল ও দীপ মন্ডল, দু’জনেই সোনারপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪২ কেজি গাঁজা, যার বাজারমূল্য আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা মূলত উড়িষ্যা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত। প্রতিবার পাচারের জন্য তারা পেত পাঁচ হাজার টাকা করে। একটি নির্দিষ্ট চারচাকা গাড়িতে করেই গাঁজা পরিবহন করা হত, তবে বিভিন্ন সময় ভিন্ন গাড়ি ব্যবহার করত তারা যাতে পুলিশের সন্দেহ এড়িয়ে যাওয়া যায়। পাচার প্রক্রিয়াকে আরও নিখুঁত করে তুলতে গাড়িতে বিশেষ চেম্বার তৈরি করা হয়েছিল এবং গাড়ির গতিবিধি নজরে রাখার জন্য তাতে লাগানো হয়েছিল জিপিএস ডিভাইস।
আরও পড়ুনঃ সোনারপুরে কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য এলাকায়
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে তারা সম্প্রতি যুক্ত হয় এবং এর আগেও একবার সফলভাবে গাঁজা পাচার করেছিল। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে তারা। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দিয়াড়া অঞ্চলে গাড়ি থামিয়ে চালানো হয় তল্লাশি অভিযান এবং সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ গাঁজা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি গাড়ি, দুটি মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ অর্থও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উড়িষ্যার একটি ধাবা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিত তারা। বর্তমানে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেও গাঁজা পাচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তাদের কাছ থেকেও ৪৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। একের পর এক ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে এবং এই চক্রের গোড়া অবধি পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। নিয়মিত এই ধরনের অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
