সোনারপুর: সোনারপুরের সুভাষ পার্ক এলাকার শান্তি সংঘ ক্লাবে শনিবার ভোররাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো স্থানীয় পুজো উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহার (৩৬)। মৃতের পিতা বিনয় সাহা, এবং বাড়ি সুভাষ পার্ক এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত প্রায় ১টা ১৫ মিনিটে বিশ্বজিৎ ক্লাবঘরে গিয়েছিলেন পুজোর প্যান্ডেলের পাশে ফ্যান চালানোর জন্য। তখন ক্লাবঘরে অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না। বাইরে প্যানেল লাগাচ্ছিলেন একজন ব্যক্তি, তিনি হঠাৎ একটি শব্দ শুনে ক্লাবঘরে ঢুকেন এবং দেখেন বিশ্বজিৎ পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অন্যান্যদের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে বিশ্বজিতকে উদ্ধার করে সুভাসগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। জানানো হয়েছে, বিশ্বজিত একাই ক্লাবঘরে ছিলেন এবং বিদ্যুতের কোনো ফাটল বা শর্ট সার্কিটের কারণে তিনি বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্লাবের ভিতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকমতো ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজিত ছিলেন এলাকার পরিচিত ও উদার ব্যক্তি। পুজোর আয়োজনের সময় তিনি সর্বদা সক্রিয় থাকতেন এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিবারের সবাই ও পাড়া প্রতিবেশীরা শোকস্তব্ধ।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্যান্ডেল ও ক্লাবঘরে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও পুজো কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে কোনো অনুষ্ঠানে হঠাৎ দুর্ঘটনা না ঘটে।
বিশ্বজিতের মৃত্যুতে স্থানীয় পুজো কমিটি ও এলাকার মানুষ শোকাহত। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, পুজোর মুখে এমন করুণ ঘটনায় পুরো এলাকা মর্মাহত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজিত ছিলেন নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী, এবং তাঁর অসামান্য কর্মকাণ্ড এলাকার মানুষের মনে চিরস্থায়ী ছাপ রেখেছে।
পুলিশ সকল দিক খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা লঙ্ঘন, বৈদ্যুতিক ত্রুটি বা অন্য কোনো কারণ থাকলে তা তদন্তে ধরা পড়বে।