জয়নগর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার বামনগাছির তাঁতিপাড়া এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ও তৃণমূল এক নেতাকে ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি। অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন মহেশ হালদার নামে ওই তৃণমূল নেতা। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা তাঁকে ও মহিলাকে ধরে একটি ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাকে থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার মহেশ হালদারকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহেশ হালদার এক সময় জয়নগর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে বছর চারেক আগে এক মহিলা সংক্রান্ত অভিযোগেই তাঁর সেই চাকরি চলে যায়। বর্তমানে তিনি স্থানীয়ভাবে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর স্ত্রী সুপর্না হালদার চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যা। ঘটনার পর সুপর্না হালদার জানান, তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, সোমবার রাত সাড়ে এগারোটার সময় একটি ফোন আসে মহেশবাবুর মোবাইলে। তারপরেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর বহুবার ফোন করলেও স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত মহেশ হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে গোটা ঘটনায় গৃহবধূর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
