বারুইপুরঃ বারুইপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সাপের কামড়ে একদিনে তিন মহিলার আহত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাগুলি ঘটেছে বারুইপুর ও কুলতলি ব্লকের তিনটি পৃথক অঞ্চলে। তিনজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
আরও পড়ুনঃ গৌড়দহের মন্দিরে চুরির কিনারা করল পুলিশ, গ্রেফতার এক
প্রথম ঘটনা বারুইপুর থানার অন্তর্গত সূর্যপুর বলবলিয়া এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের পেয়ারা বাগানে গাছে উঠে পেয়ারা পাড়ছিলেন সফুরা লস্কর (৫০)। সেই সময় হঠাৎই একটি বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপ তাঁর পায়ে কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাড়ির লোকজনকে খবর দিলে তাঁরা তড়িঘড়ি সফুরাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। পরিবারের লোকেরা পরে বাগানে গিয়ে সেই সাপটিকে মেরে ফেলে ও মৃত সাপটি হাসপাতালেও নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে শেখরবালি এলাকায়। আহত মহিলা ঝুম্পা পাইন জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি বাড়ির পাশে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। পুকুরে পা দিতেই হঠাৎ একটি জল ডাঁড়া সাপ তাঁর ডান পায়ে কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনিও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে কুলতলি ব্লকের মৈপিঠ থানার কিশোরীমোহনপুরে। রাত দুটো নাগাদ সাপে কাটে পল্লবী হালদার নামে এক যুবতীকে। পরিবারের লোকেরা প্রথমে তাকে এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ ‘চিকিৎসা’ করার পর ওঝা জানিয়ে দেয়, তার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। অবস্থার অবনতি হলে বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে সঙ্গে সঙ্গে দশটি অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিয়ে ক্যানিং হাসপাতালে রেফার করেন।
এই একদিনে তিনজন মহিলার সাপে কাটার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাগুলিতে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকেরা সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন—সাপে কাটলে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াই একমাত্র নিরাপদ উপায়।
