
ডায়মন্ডহারবারঃ মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট বিভাগে ব্রঙ্কোস্কপি পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ উৎপল দাঁ। তিনি জানান, এই পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তথা প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা আরও সহজলভ্য হবে। এই অত্যাধুনিক পরিষেবা চালু করতে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এর ফলে ডায়গনস্টিকের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বিশেষ করে বায়োপসি, টিবি নির্ধারণ, ফরেনবডি লস, শ্বাসনালী কোলাপসসহ বিভিন্ন জটিল সমস্যার নির্ণয় ও চিকিৎসায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষত তখনই এই পরিষেবা কার্যকরী হবে, যখন তাঁদের গলায় কিছু ঢুকে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুনঃ রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাভূমি ভরাট রুখল পৌরসভা
ডঃ উৎপল দাঁ জানান, ইতিমধ্যেই ১২ জন রোগীর ব্রঙ্কোস্কোপি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫ জনের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, “ব্রঙ্কোস্কোপি পরীক্ষার মাধ্যমে খুব দ্রুত ক্যান্সার নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে, যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। দ্রুত নির্ণয় মানেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব, ফলে রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনাও বাড়বে।” সাধারণত, ফুসফুস ও শ্বাসনালী সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্রঙ্কোস্কোপি একটি অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি। আগে এই পরীক্ষা করানোর জন্য রোগীদের কলকাতার বড় হাসপাতালগুলিতে যেতে হতো, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল ছিল। এখন এই সুবিধা স্থানীয়ভাবে পাওয়া যাবে, ফলে রোগী ও তাঁদের পরিবারের জন্য এটি স্বস্তিদায়ক হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিষেবা চালুর জন্য মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এতদিন ধরে এই পরিষেবার অভাবে অনেক মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। অনেক সময় দেরি হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসাও সঠিকভাবে শুরু করা যায়নি। এখন, এই পরিষেবা স্থানীয়ভাবে পাওয়া যাবে বলে তাঁরা অত্যন্ত খুশি। ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই পরিষেবাকে আরও উন্নত করা হবে এবং আরও বেশি সংখ্যক রোগী যাতে সুবিধা পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, ব্রঙ্কোস্কোপি বিভাগের পরিকাঠামো ও পরিসেবার মানোন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডায়মণ্ডহারবারের পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিস্তির্ণ অংশের বাসিন্দারা এরফলে উপকৄত হবেন ৷