
নরেন্দ্রপুরঃ গড়িয়ার এক গৃহবধূর উপস্থিত বুদ্ধি না থাকলে হয়তো ঘটতে পারত মারাত্মক বিপদ। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ, তারপর প্রেমের সম্পর্ক, এবং শেষে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। পুরো ঘটনাটি লিখিতভাবে জানিয়েছেন নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ওই গৃহবধূর সঙ্গে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয় জীবনতলা থানা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম নামে এক যুবকের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক বিবাহিত। আলাপ থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম—এইভাবেই সম্পর্ক গভীর হয়। সেই সম্পর্কের জেরেই এক পর্যায়ে রবিউল ওই গৃহবধূকে বেড়ানোর নাম করে দীঘায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ রক্তদানের পাঠ শিখল ছোট্ট আইনেশ, মায়ের অনুপ্রেরণায় জীবনের প্রথম শিবির দর্শন
তারা দীঘায় একটি হোটেলে টানা তিনদিন ছিল। অভিযোগ, সেখানে গৃহবধূর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে অভিযুক্ত যুবক। তবে সবথেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে ফেরার পথে। ট্রেনে ফেরার সময় গৃহবধূ বুঝতে পারেন, রবিউলের কথাবার্তায় কিছু অস্বাভাবিকতা রয়েছে। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছানোর পর সে তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। ঠিক তখনই নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে গৃহবধূ রেল পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে দেন। রেল পুলিশের সহায়তায় তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং পরিবারের কাছে গোটা ঘটনার কথা জানান। এরপর পরিবারের সদস্যরা নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গোটা ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে এলাকায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরিচিতদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। পাশাপাশি, বিপদের মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে বুদ্ধি খাটালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিরও মোকাবিলা করা সম্ভব। গৃহবধূর এই সাহসিকতা এবং উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করছেন অনেকেই।