
নরেন্দ্রপুরঃ সার্দান বাইপাসের দু’ধারে গড়ে ওঠা আধুনিক আবাসনগুলি আজ শুধু বসবাসের জায়গা নয়, বরং একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে ‘স্পিরিট অফ সার্দান বাইপাস’ নামক এক সামাজিক সংস্থার হাত ধরে। বছর পাঁচেক আগে মাত্র চারটি আবাসনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল এই সংস্থার পথচলা। আজ সেই সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৬০-এ, এবং প্রতিদিনই নতুন নতুন আবাসন এই বৃহৎ পরিবারের অংশ হয়ে উঠছে। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য আবাসিকদের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সমাজকে আরও শক্তিশালী করে তোলা। বছরভর আয়োজিত হয় নানা প্রতিযোগিতা—ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস সহ মোট ২৯৬টি খেলার মধ্যে দিয়ে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি আবাসিক অংশ নিয়েছেন। শিশুরা যেমন খেলায় মেতে উঠেছে, তেমনই প্রবীণরাও বাদ যাননি। উল্লেখযোগ্যভাবে, মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত, যা এই সংস্থার সর্বব্যাপী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মানসিকতাকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, বোড়াল ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পরিচালন কমিটির দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস
তবে শুধু খেলাধুলা বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ নয় ‘স্পিরিট অফ সার্দান বাইপাস’-এর উদ্যোগ। সংস্থার আওতাধীন আবাসনগুলির বাসিন্দা এবং তাদের সহায়ক কর্মীদের জন্য রয়েছে বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবা। কলকাতার একাধিক নামী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে সংস্থার চুক্তি রয়েছে, যার মাধ্যমে বিনামূল্যে অথবা নামমাত্র খরচে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই পরিষেবার আওতায় গৃহকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী বা অন্যান্য কর্মীরাও উপকৃত হন, যা সত্যিকারের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি। শুধু নিজেদের মধ্যে নয়, আশপাশের স্কুলগুলির সঙ্গে মিলে সমাজসেবামূলক কাজেও সক্রিয় ভূমিকা নেয় এই সংস্থা। রক্তদান শিবির, বয়স্কদের জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা প্রদান, শিক্ষামূলক সচেতনতা কর্মসূচি প্রভৃতি নানা উদ্যোগে তারা নিজেদের সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
‘স্পিরিট অফ সার্দান বাইপাস’ আজ এক প্রেরণার নাম। আবাসনের গণ্ডি পেরিয়ে বৃহত্তর সমাজের কল্যাণে কাজ করার যে ইচ্ছাশক্তি এই সংস্থা দেখিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। আগামীদিনেও তারা একই ভাবে মানুষের পাশে থেকে সমাজকে আরও মানবিক করে তুলবে—এই প্রত্যাশা সবার।