গড়িয়াঃ বসন্তের আবহে সংগীতপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য সন্ধ্যার আয়োজন করল সুর পূজারী। রবিবার সন্ধ্যায় ইস্ট গরিয়া এডুকেশন এন্ড কালচারাল সোসাইটির অরূপ মঞ্চে বিদূষী শর্মিলা দত্তের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল এক অপূর্ব সুরের সন্ধ্যা। যেখানে একসঙ্গে মিশে গিয়েছিল সেতার, গান, আবৃত্তি ও গীতি আলেখ্যের সুরমাধুর্য। বসন্তের সন্ধ্যায় সংগীতের মূর্ছনায় ভেসে গেলেন আগত দর্শকমণ্ডলী। উদ্যোক্তা শর্মিলা দত্ত জানান, নতুন প্রতিভাদের উৎসাহিত করতেই এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন। এই সন্ধ্যায় একদিকে যেমন রবীন্দ্রসংগীতের আবহে সকলকে অন্য জগতে নিয়ে গেলেন মহুয়া, উড়ান ও বনশ্রীরা, তেমনি সেতারের সুরে শ্রদ্ধেয় সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষে তাঁকে স্মরণ করল তেজস্বী, সায়নী, সমৃদ্ধি, দীপ্তার্ক, মিতা ও মৈত্রী। তাঁদের সেতারের ছন্দে বেজে উঠল ‘ধিতাং ধিতানং’ বোলে, যা দর্শকদের এক ভিন্ন অনুভূতির স্বাদ এনে দেয়।
আরও পড়ুনঃ জলে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু আট বছরের তৃষার, শোকস্তব্ধ পরিবার
এছাড়াও একের পর এক শুদ্ধ রাগের পরিবেশনা যেন শ্রোতাদের নিয়ে গেল এক অন্য জগতে। রাগ ইমন, কামোদ, কাফী-র মোহময় উপস্থাপনা মঞ্চকে করল আরও প্রাণবন্ত। উপস্থিত শ্রোতারা যেন সংগীতের সুরধারায় মুগ্ধ হয়ে রইলেন। সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল কাব্যকথার গীতি আলেখ্য, যেখানে সংগীত ও কবিতার এক অসাধারণ মেলবন্ধন দেখা গেল। সুর ও কথার অপূর্ব সংমিশ্রণে তৈরি এই পরিবেশনা শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। সন্ধ্যার শেষ পর্বে শর্মিলা দত্ত ও সোমা সেতারে পরিবেশন করলেন বসন্ত রাগ। বসন্তের আবহে এই বিশেষ রাগ যেন এক অনন্য অনুভূতি এনে দিল দর্শকদের মনে। সেতারের তারে সেই সুরধ্বনি ছড়িয়ে দিল বসন্তের আবেশ।
এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শুধুই একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি ছিল সংগীত ও শিল্পের এক মিলনমেলা, যেখানে নতুন প্রতিভারা তাঁদের প্রতিভার প্রকাশ ঘটানোর সুযোগ পেলেন। উদ্যোক্তা শর্মিলা দত্ত বলেন, “সংস্কৃতির চর্চা ও নবীন শিল্পীদের উৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।” সংগীতপ্রেমী দর্শকদের কাছেও এই সন্ধ্যা হয়ে রইল স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা, যেখানে বসন্তের সুরেলা হাওয়ায় বেজে উঠল সেতার, রবীন্দ্রসংগীত ও গীতি আলেখ্যের মেলবন্ধন।
