
সোনারপুরঃ গভীর রাতে ডাকাতির ছক ভেস্তে দিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করল সোনারপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাত গভীর হলে রামচন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করার সময় তাদের আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডাকাতির সরঞ্জাম। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনই ভাঙড় এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ ওই এলাকায় নজরদারি চালায়। রাত বাড়তেই তারা পাঁচ ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে। তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। এরপরই পুলিশ তাদের আটক করে এবং দেহ তল্লাশি চালায়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, দড়ি, মাস্ক ও অন্যান্য ডাকাতির সরঞ্জাম।
আরও পড়ুনঃ নৃত্যশিল্পীর রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুরে, শোকস্তব্ধ পরিবার
ধৃতরা হল— আলি মোল্লা, মনিরুল ঘরামি, রাহুল মণ্ডল, জয় রায় ও সুকুর ঘরামি। জানা গেছে, এদের মধ্যে কয়েকজন আগেও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং পুলিশি রেকর্ডে নাম রয়েছে। আগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তের পাশাপাশি এই ডাকাতির পরিকল্পনা কোথায় এবং কীভাবে করা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সোনারপুর থানার এক আধিকারিক জানান, “আমাদের কাছে আগেই খবর ছিল যে, এই এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে, যা ডাকাতির প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করছি।”
ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বুধবার তাদের বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে, এই চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করেছেন। এলাকার এক বাসিন্দা জানান, “সাম্প্রতিক সময়ে রাতে আমাদের এলাকায় অপরিচিত লোকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। ভাগ্য ভালো যে, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, না হলে বড় ধরনের অপরাধ ঘটে যেতে পারত।” পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, যাতে তাদের পরিকল্পনার সম্পূর্ণ বিবরণ জানা যায় এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ রুখতে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।