
oplus_1049602
সোনারপুরঃ মঙ্গলবার সকালেই মানালি ছাড়ল সোনারপুর আরোহীর পাঁচ সদস্যের দল ৷ সকাল সাতটার দিকে রওনা দেয় তারা ৷ মানালি থেকে কেলং-এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তারা ৷ কেলংয়ে সকাল ১০টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার কথা আছে ৷ কেলংয়ে পৌঁছে সেখানকার কেলংয়ে ডিসি অফিস ও পুলিশ সুপারের অফিসে নিয়মানুযায়ী সমস্ত তথ্য জমা করা হবে ৷ তারপর ছিকা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে টিম ৷ এই গ্রামে দুদিন থাকার কথা রয়েছে তাদের ৷
আরও পড়ুনঃ সকালে সোনারপুরে ভুমিকম্প
সোনারপুর আরোহীর এবারের লক্ষ্য শীতকালীন অভিযানে সফল আরোহণ করা ৷ দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার জানান এই অভিযান সফল হলে শীতকালীন অভিযানে আগ্রহ আরও বাড়বে ৷ সাধারণত ২১শে ডিসেম্বর থেকে ২১শে মার্চের মধ্যে কোনও পর্বতের বেসক্যাম্প থেকে শৄঙ্গে আরোহন করে আবার বেসক্যাম্পে ফেরত এলে তা শীতকালীন পর্বতারোহনের মধ্যে পড়ে ৷ জানা গিয়েছে দক্ষিণ দিকের দেওয়াল ধরে পশ্চিম গিরিশিরায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের ৷ রুদ্রপ্রসাদ হালদার ছাড়াও এই অভিযানে রয়েছেন সোনারপুর আরোহীর আরও চার সদস্য ৷ তারা হলেন রাহুল হালদার, চিকিৎসক উদ্দীপন হালদার, দেবাশিস মজুমদার ও অরুনাভ সাঁফুই ৷ এখনো পর্যন্ত শীতকালে কোনো ৬০০০ মিটার পর্বতে সফল আরোহণের নজির নেই ভারতবর্ষে। সোনারপুর আরোহীর সদস্যরা সফল হলে শীতকালীন পর্বতারোহনের ক্ষেত্রে তা মাইলস্টোন হবে ৷
২২শে ফেব্রুয়ারী শনিবার পুর্বা এক্সপ্রেসে রওনা দেয় তারা ৷ পরেরদিন রবিবার দিল্লীতে পৌঁছায় ৷ রবিবারই বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লি থেকে বাস ধরে সোমবার সকালে মানালি পৌঁছায় ৷ পর্বতারোহনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করার পাশাপাশি শেষ মুহুর্তের প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও সেরে নেয় তারা ৷ আবহাওয়ার পুর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে স্নোফলের সম্ভবনা রয়েছে ৷ অতিরিক্ত স্নোফল হলে অভিযানের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার ৷