বারুইপুরঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার শংকরপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোড় ও বলবলিয়া এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকটে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রবল গরমে মাটির নিচের জলস্তর নেমে যাওয়ায় এলাকার অধিকাংশ হ্যান্ড পাম্পে জল মিলছে না। কেউ কেউ আর্থিক সামর্থ্যে সাবমার্সিবল বসালেও, বেশিরভাগ পরিবার নির্ভর করছে বহু দূরের পিএইচই-এর ফাটা পাইপ থেকে পাওয়া জলের উপর। কেউবা টাকা দিয়ে জল কিনে খাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ বারুইপুরে প্রথম ডিজিটাল ক্লাসরুম শিশু শিক্ষা সদন স্কুলে, পড়ুয়াদের পড়াশোনায় নতুন দিশা
এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক তহবিল থেকে পানীয় জলের ট্যাংক ও ট্রাক্টর বরাদ্দ করা হয় শংকরপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে। উদ্দেশ্য ছিল প্রয়োজনে জল সরবরাহ করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই ট্যাংক ও ট্রাক্টর পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে, আগাছায় ঢাকা, অকেজো অবস্থায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়েতে জানালেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বুস্টার পাম্প চালু করতে দেরি হচ্ছে, তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি ট্যাংক ও ট্রাক্টর ব্যবহৃত না হওয়ার বিষয়েও তদন্তের আশ্বাস দেন।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপক নস্কর জানান, রাস্তাগুলি সরু হওয়ায় ট্যাংক সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। তবে বুস্টার পাম্প চালু হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে তিনি দাবি করেন। তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—যেখানে পানীয় জল মানুষের জীবনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, সেখানে পঞ্চায়েত আরও মানবিক হতে পারত না? সমস্যার সমাধান থাকা সত্ত্বেও তা কাজে লাগানো হল না কেন? সেই উত্তর আজও অধরা অসহায় পরিবারগুলোর কাছে।
