
filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; captureOrientation: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: video;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 0;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 43;
সোনারপুরঃ সাধারণত নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনের, কিন্তু কখনও কখনও সাহস, সচেতনতা আর সংহতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষই বদলে দিতে পারেন চেনা বাস্তব। এমনই এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লীর মহিলারা।পাড়া জুড়ে অলিগলির রাস্তায় দিনের পর দিন দুষ্কৃতীদের দাপট, মহিলাদের ওপর টোন-টিটকারি, মদ্যপদের আনাগোনা — এসব থেকে মুক্তির জন্য তাঁরা এক অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন। নিজেরাই চাঁদা তুলে বসিয়েছেন প্রায় ১২টি সিসিটিভি ক্যামেরা।
আরও পড়ুনঃ সোনারপুর বাইপাসে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান, প্রস্তুত নরেন্দ্রপুরেও
একজন দিয়েছেন চাকরির বেতনের অংশ, কেউ লক্ষ্মী ভাণ্ডার বা বার্ধক্যভাতার টাকা, কেউ আবার টিউশন করে জমানো অর্থ। মিলেমিশে তাঁরা তৈরি করেছেন একটি কন্ট্রোল রুমও, পাড়ারই এক বাড়িতে। সেখানেই পালা করে নজরদারি চালাচ্ছেন পাড়ার মহিলারাই। এলাকার বাসিন্দা অনিন্দিতা বসু জানান, সিসিটিভি বসাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। প্রবীণ বাসিন্দা ঝর্ণা চক্রবর্তী বলেন, “বার্ধক্যভাতা থেকে টাকা দিয়েছি, কিন্তু মনে হচ্ছে এটা সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।” আরেক বাসিন্দা জয়তী সাহা বলেন, “রাত নামলেই রাস্তায় বের হতে ভয় লাগত। এখন বুকটা একটু শক্ত করে বেরোতে পারি।” এই উদ্যোগে খুশি পাড়া-প্রতিবেশীরাও। শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী জানান, মহিলাদের এই উদ্যোগে সুরক্ষার আশ্বাস মিলছে এখন।
পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ নস্করও প্রশংসা করেছেন এই উদ্যোগের। তাঁর মতে, “মেন রোডে সিসিটিভি বসানো সম্ভব হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু প্রত্যেক অলিগলিতে নজর রাখা সম্ভব ছিল না। এই মহিলা-প্রচেষ্টাই এখন অন্যদের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে।” সচেতন নাগরিকদের এই প্রয়াস দেখিয়ে দিল — নিরাপত্তা শুধুই কারও উপর নির্ভর নয়, তা গড়ে ওঠে একজোট হয়ে।