
সোনারপুরঃ নিতান্তই ছাপোষা বাঙালী গৃহবধূর এই লড়াই হার মানাবে রুপকথার গল্পকেও। ৫০ পেরলেই যারা ভাবেন জীবন শেষ, তাদের কাছে নিসন্দেহে অনুপ্রেরণা হতে পারেন তিনি। ৫৫ বছর বয়সে মাঠে নেমে আজ ৫৯ বছর বয়সেও অনায়াসে দৌড়াচ্ছেন ১০ কিলোমিটার পথ। শুধু তাই নয়, দেশে-বিদেশে নানান প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে মাঠে নেমে ছিনিয়ে আনছেন পুরষ্কার। তিনি সোনারপুরের রীনা ভদ্র।
ভিডিও দেখুনঃhttps://www.youtube.com/watch?v=0GJ4s7cJVk4
আর পাঁচটা বাঙালী মেয়ের মতই পারিবারিক অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। সংসার সামলে সন্তানদের বড় করে তোলার মধ্য দিয়েই কাটছিল তার জীবন। স্বামীর মৃত্যুর তার জীবনে নেমে আসে একাকীত্ব। ততদিনে মেয়েরাও বড় বড় হয়ে গিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই যোগ-ব্যায়াম করার অভ্যাস ছিল তার।[মেয়েদের উৎসাহে বাড়ির পাশের মাঠে মর্নিং ওয়াকে যাওয়া শুরু করেন। তারপরই বদলে যায় তার জীবন। সুইমিং, ওয়াকিং এর পাশাপাশি নিয়মিত দৌড়াতে শুরু করেন। প্রশিক্ষনও নেন। নিজেকে তৈরি করে ২০১৯ সালে হুগলীর কোন্নগরে আয়োজিত স্টেট প্রতিযোগিতায় ওয়াকিং বিভাগে দ্বিতীয় এবং সর্টপুটে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাননি। অদম্য জেদ আর সাহষের উপর নির্ভর করে চেন্নাইয়ে জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত ন্যাশনাল গেমসে যোগদান করেন এবং দ্বিতীয় হন। সুযোগ পান বিদেশে আয়োজিত একাধিক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতাতেও। কিন্তু অর্থের অভাবে যাওয়া হয়নি তার। তবে সুযোগ পেয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে জুন মাসে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল গেমসে ১০ কিমি দৌড়ে তিনি প্রথম হন।
তার এই পারফরম্যান্সে অবাক অনেকেই ৷ তাকে যারা প্রথম মাঠে আসতে দেখেছেন তারাও তার এই সাফল্যে খুশি বলে জানালেন তারা ৷ তাকে মাঠে নিয়ে এসেছিলেন সুজিত রায় ৷ তিনি তাকে বেশ কিছু টিপসও দেন ৷ রীনা দেবীর এই সাফল্যে খুশি তিনিও ৷