
সোনারপুরঃ সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের পরিকল্পনা ছিল বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের। রামনবমীকে কেন্দ্র করে সেই প্রস্তুতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল আরও কঠিন। একদিকে রামনবমীর মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করা সম্ভব নয়, অন্যদিকে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে খোলা ময়দান ছেড়ে দেওয়াও চলবে না। ফলে প্রশাসনের কাছে বড় পরীক্ষা ছিল এই উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করানো। সেই চ্যালেঞ্জে সাফল্য পেয়েছে প্রশাসন। অশান্তির কোনও খবর নেই। বরং শান্তিপূর্ণভাবেই সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় একের পর এক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিজেপির পরিচিত নেতারা বিভিন্ন এলাকায় অংশ নিয়েছেন শোভাযাত্রায়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবিও।
আরও পড়ুনঃ কাশীর ডাকে বাঁধা পড়ে থাকা মন — ফিরে আসার পথেও যেন থেকে যাওয়া
সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বনহুগলী ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলী মৈত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন রামনবমী উপলক্ষে।অশান্তি এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ছিল পুলিশ পিকেট। প্রতিটি শোভাযাত্রায় ছিল পুলিশের উপস্থিতি। পাশাপাশি বারুইপুর পুলিশ জেলা জুড়ে প্রতিটি থানা এলাকায় টহলদারী ভ্যানের সংখ্যা বাড়ানো হয়। প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হল এ বারের রামনবমী।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সম্প্রীতির বার্তাও ছড়িয়ে পড়ল সাধারণ মানুষের মধ্যে। উৎসবের রঙে রাজনীতির উত্তাপকে হার মানিয়ে নজির তৈরি করল সোনারপুর-নরেন্দ্রপুর এলাকা।