
কুলতলিঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী থানার অন্তর্গত দেউলবাড়ী দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকপীর এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চরমে পৌঁছে রক্তাক্ত সংঘর্ষে পরিণত হল। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত তাঁরই দাদা ও ভাইপো।
আরও পড়ুনঃ “বাঘের হাত থেকে বাঁচালেন গ্রাম, নিজেই পড়লেন বিপদে — আজ লড়ছেন পরিবার বাঁচানোর লড়াই”
আহত ব্যক্তি যুধিষ্ঠির সরদারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলছিল দাদা পঞ্চু সরদার এবং ভাইপোদের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকালে সেই বিবাদ আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কথা কাটাকাটির মাঝেই পঞ্চু ও তার ছেলে হঠাৎই ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় যুধিষ্ঠিরের উপর। পরপর কোপ মারা হয় তাঁর শরীরে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর কুলতলী গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে কুলতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুধিষ্ঠির। ঘটনার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে জমির ভাগাভাগি নিয়ে বহুদিন ধরেই মনোমালিন্য চলছিল। আগেও একাধিকবার বচসা হয়েছে, তবে এবার তা রক্তাক্ত আকার নিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে দাদার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। স্থানীয় মানুষজন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁদের কথায়, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু তার নিষ্পত্তি আইনের পথে হওয়া উচিত। পরিবারের মধ্যেই এমন হিংস্রতা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও অমানবিক।