
নরেন্দ্রপুরঃ নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হলেন এক গৃহবধূ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে এম.আর. বাঙুর হাসপাতালে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত স্বামী সন্দীপ দাস-কে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সন্দীপ দাস ও সোনালী দাস। তাদের আড়াই বছরের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। প্রথম দিকে স্বাভাবিকভাবেই চলছিল সংসার। তবে ধীরে ধীরে সোনালীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্রপুর থানার সাফল্য, গাঁজা পাচার চক্রের মুল পান্ডা ‘গুলে’ গ্রেফতার
সোনালীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, পণের জন্য প্রায়ই তাকে মারধর করা হত। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য দাবি না মানলেই তাকে নানাভাবে নির্যাতন করত তার স্বামী। রবিবার এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে লস্করপুরের বাড়িতেই। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সোনালীর পরিবারের দাবি, স্বামী সন্দীপ-ই তাকে অগ্নিদগ্ধ করার চেষ্টা করেছে। ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোনালীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সোনালীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় এখনও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি কথা বলার অবস্থায় এলেই তার বক্তব্য নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সোনালীর পরিবারের পক্ষ থেকে নরেন্দ্রপুর থানায় স্বামী সন্দীপ দাসের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্দীপ দাস-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার পেছনে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, বা আগে থেকে কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত ওই দম্পতির মধ্যে। সোনালী প্রায়ই মারধরের শিকার হতেন বলে অভিযোগ তাদের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোনালীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।