
সোনারপুরঃ দলবল সহ লোকজন নিয়ে গিয়ে সোনারপুরে প্রাক্তন ফুটবলারকে মারধর ও তার বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৄণমুলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত ৷ অভিযোগ অস্বীকার তৄণমুল নেতার ৷ ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের ৷ দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷
আরও পড়ুনঃ ম্যাট পদ্ধতিতে বাড়িতেই তৈরি করা যাবে ধানের চারা
সোনারপুর থানা এলাকার সোনারপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলা এলাকার ঘটনা ৷ ঘটনার সুত্রপাত মঙ্গলবার বিকেলে ৷ শীতলা এলাকার বাসিন্দা বাবু দাস পোদ্দার ৷ তিনি প্রাক্তন ফুটবলার ৷ বর্তমানে কোচিংও করান ৷ তার বাড়ির সেফটিক ট্রাঙ্কের উপর ওঠে একটি বাচ্ছা খেলা করছিল ৷ ঐ জায়গা কিছুটা ভাঙা মত হয়ে রয়েছে তাই ওখান থেকে নেমে যেতে বলা হয় ৷ বাচ্ছাটি কথা না শোনায় তাকে লাথি মারা হয় এমনকি তার গলায় পা তুলে চেপে রাখা হয় বলেও অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় তৄণমুল নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ণ দাস ওরফে নাড়ু জানান এর আগেও বাবু দাস একাধিকজনকে মারধোর করেছে ৷ এমনকি মহিলাদের বিরুদ্ধেও অশালীন আচরণ করার অভিযোগ ৷ ৫/৬ বছরের একটি ছেলেকে মারধর করা হয় ৷ বিষয়টি থানাকে জানানো হয় ৷ পুলিশ আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ি ভাঙচুর করে ও মারধর করার ঘটনা ঘটেছে ৷ এরসাথে তার কোনও যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ পাশাপাশি তার অভিযোগ বাবু দাস মানসিক ভারসাম্যহীন ৷ আক্রান্ত ছেলের মায়ের অভিযোগ তার ছেলেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ ভীষণই মারধোর করা হয়েছে ৷ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারের দাগ রয়েছে ৷
বাবু দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে বাচ্ছাটি নিয়মিত প্রতিদিন এখানে এসে খেলা করছিল ৷ যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ৷ সেই ভয়ে তাকে বারণ করা হয় ৷ তারপরেও না শোনায় তাকে চড় মারা হয় ৷ এছাড়া কিছু করা হয় নি ৷ কিন্তু এরপর লোকজন নিয়ে এসে শাবল রড সহ বাড়ি ভাঙচুর করা হয় ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷