
সোনারপুরঃ বেপরোয়া বাইক চালানো আবারও প্রাণ কাড়ল এক তরতাজা যুবকের। সোনারপুর থানা এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাস (বয়স আনুমানিক ২৭) রবিবার রাতে এক মর্মান্তিক বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। জানা গিয়েছে, তিনি বাড়ি ফিরছিলেন বাইকে চড়ে। কিন্তু আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ওই সময় তার মাথায় হেলমেট ছিল না। ফলে প্রচণ্ড আঘাত লাগে মাথায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের প্রসাদপুরে ৷ দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ছুটে আসেন। দ্রুত খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। পুলিশ এসে আহত বিশ্বজিৎকে প্রথমে নিয়ে যায় সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে কলকাতার এন.আর.এস. মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। রাতেই এন.আর.এস-এ ভর্তি করা হয় তাকে। দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা চললেও, শেষপর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি। সোমবার সকালে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা, সাড়ে সাত হাজার টাকা খুইয়ে থানায় অভিযোগ যুবতীর
এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশ্বজিৎ দাস এলাকার পরিচিত মুখ ছিলেন। পরিবার ও প্রতিবেশীরা শোকস্তব্ধ। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় বিশ্বজিৎ দাসের মাথায় হেলমেট ছিল না এবং তিনি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন। পাশাপাশি, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে তিনি হয়তো মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তবে এটি স্পষ্টভাবে জানার জন্য তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার পাঠানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনা ফের একবার মনে করিয়ে দিল যে ট্রাফিক বিধি অবহেলা করলে তার পরিণাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে। হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো যে কতটা বিপজ্জনক, তা বিশ্বজিতের এই মর্মান্তিক মৃত্যুই প্রমাণ করে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং বাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে।
এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে মানুষকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরা এবং ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা যে কতটা জরুরি, তা আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাতের বেলায় বাইক চালানোর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার অনুরোধ করা হয়েছে।