কুলতলিঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার দেউলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতার নাম মনোয়ারা মোল্লা (২০)। তার বাপের বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকায়। বছর দেড়েক আগে মনোয়ারার সঙ্গে বিয়ে হয় মাঝিদুল মন্ডল (২৩)-এর। সম্পর্কের সূত্রপাত হয় ফোনে আলাপ থেকে। এরপর একদিন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করে নেয় মাঝিদুল। কিছুদিন স্ত্রীর বাড়িতে থাকার পর তাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যায় সে।
আরও পড়ুনঃ গোড়াগাছার বেহাল রাস্তা, সমস্যায় বাসিন্দারা, আশ্বাসেই আটকে কাজ
বিয়ের সময় পণের টাকা, সোনার গয়না-সহ সবই দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি মৃতার পরিবারের। তবুও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি মেয়ের বাবার অভিযোগ, মাঝিদুলের অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এই বিষয় নিয়ে মেয়েটি প্রতিবাদ করলে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। একাধিকবার জানিয়ে দেওয়া হয়, তাকে সতীনের সঙ্গে ঘর করতে হবে কিংবা প্রাণ দিতে হবে। মনোয়ারার বাবার আরও অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাও কঠিন হয়ে উঠেছিল। ফোনে কথা বলতে দেওয়া হত না। আজ, বুধবার, মেয়েটির বাপের বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ খবর আসে, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। অথচ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মনোয়ারা পরিবারের সবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে বলে দাবি বাবার।
মনোয়ারার পরিবারের স্পষ্ট অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত খুন। পরিবারের সকলে মিলে মেয়েকে খুন করেছে। গোটা ঘটনায় কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
