
নরেন্দ্রপুর, ২৬ মার্চ ২০২৫: নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ বুধবার গভীর রাতে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে, যিনি এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ । গোপন সুত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম অনুপ পৈলান। তিনি খেয়াদহের রণভুতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্থানীয়ভাবে মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে বেড়াতেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ অনুপ পৈলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে এলাকায় তোলা আদায়, সাট্টা এবং জুয়ার ঠেক চালানোর অভিযোগ ছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় সমাজবিরোধী কাজকর্ম করার অভিযোগ আছে।
আরও পড়ুনঃ শিবঠাকুরের আপন দেশে : বেনারস ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)
নরেন্দ্রপুর থানার এসআই শান্তনু ব্যাধ গোপন সূত্রে খবর পান যে, অনুপ পৈলান তার বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখে। এরপর, তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রানাভুতিয়া গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিছনে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। পুলিশ ধারণা করছে, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে সে এলাকার মানুষের উপর হুমকি সৃষ্টি করত এবং তার অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাত। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে পূর্বেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে খেয়াদহ দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি শিশু আহত হয়েছিল।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কেন ছিল এবং সে সেগুলি কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করত, তা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য নরেন্দ্রপুর থানার পক্ষ থেকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের তদন্তের লক্ষ্য হলো, তার অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং তার সঙ্গে যুক্ত অন্য অপরাধীদের খুঁজে বের করা। এছাড়া, স্থানীয় জনগণের মধ্যে তার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে এবং তারা আশা করছেন যে, পুলিশ দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তারা জানান, অনুপ পৈলানের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ সন্ত্রস্ত ছিল এবং তার গ্রেফতার হওয়ায় সবার কাছে একটি বড় আশার আলো। এই ঘটনার পর, পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে যে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।