ভাঙড়ঃ ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খান খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মাথা-সহ শরীরের পাঁচটি স্থানে গুলি লেগেছিল রেজ্জাকের। শুধু গুলিই নয়, তাঁর দেহে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপও রয়েছে—মুখ, কাঁধ-সহ প্রায় ৫-৬টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অত্যন্ত রাগ বা প্রতিহিংসা থেকেই এই আঘাতগুলি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উত্তেজনা এখনও রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। চলছে টহলদারি। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূল নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা রবিবার প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন। ঘটনা বৃহস্পতিবার রাতে, চালতাবেড়িয়া অঞ্চলে। দলীয় কর্মসূচি সেরে বাইকে করে বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রেজ্জাক। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। শওকত মোল্লার অভিযোগ, এই ঘটনায় আইএসএফ জড়িত। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “রেজ্জাক খুনের দায় ঘাড়ে চাপাতে চাইছে শাসকদল। কিন্তু শওকতের অতীত ইতিহাস ঘাঁটলেই অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।”
জানা যাচ্ছে, রেজ্জাক একসময় আবাবুল মোল্লার ঘনিষ্ঠ হলেও পরবর্তীতে শওকত মোল্লার অনুগামী হয়ে ওঠেন। সেই রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের জেরেই কি খুন? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
