
কুলতলিঃ জীবনের চাকা কখন কোনদিকে ঘুরে যায়, তা কেউই জানে না। সেই কথাই যেন ফের প্রমাণ করে দিলেন কুলতলি ব্লকের এক নম্বর মেরিগঞ্জের কেওড়ামাটাল এলাকার বাসিন্দা মুজিবর শেখ। সংসারের টানাটানির মধ্যেই দিন কাটত তাঁর। স্বামী-স্ত্রী মিলে বাড়িতে জরির কাজ করে কোনরকমে চলে যেত সংসার। স্বপ্ন দেখার সুযোগ বা সামর্থ্য কোনওটাই ছিল না। তবু মাঝে মধ্যে কচিয়ামারা বাজারের একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে লটারির টিকিট কাটা ছিল তাঁর একমাত্র শখ।
আরও পড়ুনঃ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব, “আমরুত মিত্র” অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ সেই দোকান থেকেই টিকিট কাটেন মুজিবর। সন্ধে ছ’টার সময় খেলা হয় এবং দেখা যায় তাঁর টিকিটে পড়েছে এক কোটি টাকার পুরস্কার! প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। কয়েকবার নম্বর মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর খবর দেন পুলিশকে। রাতে সুরক্ষার কারণে থানাতেই আশ্রয় নেন মুজিবর। লটারি জেতার খবরে গোটা এলাকায় এখন চাঞ্চল্য। মাটির বাড়িতে খড়ের চাল, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ—এইসবই ছিল মুজিবরের জীবনের চেনা ছবি। কিন্তু হঠাৎ এই ভাগ্যবদলে তিনি যেমন অভিভূত, তেমনই সংযতও। তাঁর কথায়, “ভালো একটা পাকা বাড়ি বানাবো। আর কিছু টাকা গচ্ছিত রাখবো যাতে শেষ বয়সে আমি আর আমার স্ত্রী ভালোভাবে থাকতে পারি।”
অত্যন্ত সাধারণ একজন মানুষ হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির পরেও যেভাবে সংযত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। মুজিবরের জীবনের এই নাটকীয় পরিবর্তন আজ অনেকের কাছেই হয়ে উঠেছে আশার আলো।