
সোনারপুরঃ ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। একদিকে রাজপথে বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিবেশ, অন্যদিকে প্রশাসনিক কড়াকড়ি। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষকদের প্রতি পুলিশের আচরণ নিয়ে মত প্রকাশ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ। সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত একটি সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি বলেন, “শিক্ষকদের প্রতি পুলিশের আরও সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। ওনারা সমাজের সম্মানীয় শ্রেণি। আবার একই সঙ্গে শিক্ষকদের প্রতিও আমার বার্তা, প্রতিবাদ অবশ্যই করবেন, তবে আইন হাতে তুলে নেবেন না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত মানবিক মানুষ। তাঁর ওপর ভরসা রাখুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই সমস্যার একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে।”
একইসঙ্গে বিরোধীদের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন সায়নী ঘোষ। তাঁর কথায়, “বিরোধীরা গঠনমূলক কিছু চাইছেন না। তারা শুধু অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার জীবনের সঙ্গে যারা খেলছে, তারা আসলে রাজ্যের শান্তি নষ্ট করতে চাইছে।” এদিনের বৈঠকে সায়নী ঘোষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ডহারবার-যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী ও সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। বৈঠকে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে সায়নী বলেন, “এই কঠিন সময়ের মধ্যেও আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। শান্ত থাকতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এই ঘটনার কোনও প্রভাব ভোট বাক্সে পড়বে না।” তিনি আরও জানান, “দল সবসময় মানুষের পাশে আছে। শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে অত্যন্ত চিন্তিত। রাজ্য সরকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। আমরা চাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক।”
সোনারপুরের এই বৈঠকে কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে সায়নী বার্তা দেন, “আমাদের লড়াই মানুষের পাশে থাকার লড়াই। কোনও উসকানিতে পা দেওয়া চলবে না। জনসংযোগ বাড়িয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের দল। মানুষের বিশ্বাসই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।” রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বার্তাই সায়নী ঘোষের পক্ষ থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।