
সোনারপুরঃ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্য জুড়ে ষষ্ঠ স্থান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রথম হয়ে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের গর্ব হয়ে উঠেছে অভ্রদীপ মন্ডল। ৬৯০ নম্বর পেয়ে এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য অভ্রদীপকে সম্বর্ধনা জানালেন স্থানীয় বিধায়ক লাভলী মৈত্র। তিনি বলেন, “এটা আমাদের সবার গর্ব। আমার বিধানসভা এলাকার ছাত্র বলে এটি আমার কাছে বাড়তি পাওনা। অভ্রদীপের ভবিষ্যৎ যেন আরও উজ্জ্বল হয়, সেই কামনাই করি।” শুধু পড়াশোনাতেই নয়, গানের প্রতিভার জন্যও অভ্রদীপের প্রশংসা করেন বিধায়ক। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার পাশাপাশি যেন UPSC পরীক্ষাতেও বসার কথা ভাবে অভ্র। প্রয়োজনে অভ্রদীপের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ, ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন সোনারপুরের অভ্রদীপের
অভ্রদীপ জানায়, এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম—প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে সে। আত্মবিশ্বাসী ছিল নিজের ফল নিয়ে, আর সেই আত্মবিশ্বাসই আজ বাস্তব হয়েছে। সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র অভ্রদীপ তার স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে, শিক্ষকদের সহানুভূতি ও সাহায্য তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মানসী চৌধুরী বলেন, “অভ্র খুবই ভালো ছেলে। আমরা তার এই সাফল্যে গর্বিত। ওর ভবিষ্যৎ যেন আরও উজ্জ্বল হয়, সেই শুভকামনা রইল।”
চকচকে নম্বরের পাশাপাশি অভ্রদীপ সহশিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডেও সমানভাবে আগ্রহী। প্রিয় নেশা গান আর দাবা খেলা। নিয়মিত গান শেখে সে এবং ভবিষ্যতে সায়েন্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ইতিমধ্যেই নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সে। অভ্রদীপের এই সাফল্যের নেপথ্যে তার পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। বাবা রামকৃষ্ণ মন্ডল, যিনি গ্রীনপার্ক শিক্ষাসদন হাইস্কুলে বাংলা বিভাগের শিক্ষক এবং মা একজন গৃহবধূ—দু’জনেই ছেলেকে সর্বতোভাবে মানসিক সহায়তা ও উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁদের এই অনুপ্রেরণাই অভ্রদীপকে এতদূর পৌঁছতে সাহায্য করেছে।