
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে’— এই কথার পরতে পরতে যেন মেলে ধরে শ্রীমতী মায়া চক্রবর্তীর জীবনযাত্রা। সুর, সাধনা ও সংযমে ভর করে ১৯৮৫ সালে বেহালায় তাঁর হাতে গড়ে ওঠে ‘গীতলেখা’। ‘গীতভারতী’ ডিপ্লোমা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করে তিনি যে সংগীত সাধনার সূচনা করেছিলেন, তা আজ ৪০ বছর পূর্ণ করল।
আরও পড়ুনঃ প্রদীপ বটতলা মাঠে কর্মীসভা বিধায়ক লাভলী মৈত্রর, ডাক না পেয়ে অনুপস্থিত কাউন্সিলর সোনালী রায়
এই বিশেষ উপলক্ষে, পঁচিশে বৈশাখে শিবপুরের ‘গীতলেখা’ চত্বরে অনুষ্ঠিত হল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা— যেখানে গান, কবিতা ও নৃত্যের মেলবন্ধনে উদযাপিত হল গীতলেখার পথচলা। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল গুরু ও শিষ্যের যুগলবন্দী পরিবেশনা, যা উপস্থিত সকলকে আবেগে আপ্লুত করে তোলে। সংস্থার কর্ণধার মায়া চক্রবর্তী তাঁর ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্মারক মেডেল তুলে দেন— যা শুধুমাত্র একটি পুরস্কার নয়, বরং ভালোবাসা, আস্থা ও অনুপ্রেরণার প্রতীক। এই মুহূর্তগুলিকে রেকর্ড করে অনলাইনে সিডি আকারে প্রকাশের কথাও জানান তিনি, যা গীতলেখার ইতিহাসে অমূল্য সংযোজন হয়ে থাকবে।
চল্লিশ বছরের সাফল্য কোনও সমাপ্তি নয়, বরং এক নবযাত্রার সূচনা। শিষ্যদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে একটাই প্রত্যয়— “গীতলেখা এগিয়ে চলুক রবির আলোয়, গুরুর হাত ধরে।” সংগীতকে ঘিরে এক জীবন্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘গীতলেখা’ আজও দৃঢ় পায়ে অগ্রসর। এই উদযাপন শুধু অতীতের গৌরব নয়, ভবিষ্যতের দিশাও।