বারুইপুরঃ বারুইপুর থানার পুলিশের দক্ষতায় বড়সড় ছিনতাই কাণ্ডে এল অগ্রগতি। পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই দুষ্কৃতী। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৪ সেপ্টেম্বর। অভিযোগ অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভুমরু গ্রামের ধান ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন মোল্লা সেদিন বিকেলে বারুইপুর ক্যানিং রোডের ছোয়ানি মোড়ে হোটেলের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎই দু’জন দুষ্কৃতী এসে তাঁর কাঁধে ঝোলানো কালো ব্যাগে বন্দুক আছে বলে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। ব্যবসায়ীকে মারধোরও করা হয়। পরে আরও চারজন দুষ্কৃতী এসে মোল্লার ব্যাগ ছিনিয়ে চম্পট দেয়। ব্যবসায়ী জানান, ব্যাগে ছিল সাড়ে বারো লক্ষ টাকা—যা তিনি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার পরিশোধের জন্য এনেছিলেন। ঘটনার পর তিনি দ্রুত বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে বিশেষ টিম গঠন করে সাফল্য পেল বারুইপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছে শুকুর আলি লস্কর ও মুস্তাফা সরদার নামে দুই দুষ্কৃতী। তাঁদের বাড়ি যথাক্রমে বারুইপুরের বেলেগাছি ও হাড়দহ এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা।
বারুইপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে এসডিপিও অভিষেক রঞ্জন জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে আগে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। তবে বাকি ছিনতাইবাজদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। একই সঙ্গে বাকি টাকা উদ্ধারের প্রচেষ্টাও জোরদার হয়েছে। এই সাফল্যে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তাঁদের দাবি, বারুইপুর-ক্যানিং রোডে টহলদারি আরও বাড়ানো উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
