
নরেন্দ্রপুরঃ নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর এলাকায় এক প্রৌঢ়ার আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতার নাম মৃণাল সাহা (৫২)। পেশায় তিনি লটারি বিক্রেতা ছিলেন। শুক্রবার রাতে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মৃণালবাবু আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লটারি বিক্রির কাজে আয় অনিয়মিত ছিল এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঋণের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছিল। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুনঃ সোনারপুরে ফের গ্রেফতার মেধাবী আইআইটি ছাত্র, ধারালো অস্ত্রের হামলা ও হুমকির অভিযোগে উত্তেজনা
মৃণালবাবুর একমাত্র মেয়ের বিয়ে আগেই হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী ও ভাই। শুক্রবার বিকেল থেকেই তাকে দেখা যাচ্ছিল না বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেই চিঠিতে তিনি তার স্ত্রী, ভাই, মেয়ে ও জামাইকে উদ্দেশ্য করে শেষবারের মতো কিছু কথা লিখে গিয়েছেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, চিঠির বিষয়বস্তু থেকে স্পষ্ট আর্থিক চাপে ভুগেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে, তবে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে এবং দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মৃণালবাবু শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে কোনও বিরোধ ছিল না তার। এই ধরনের ঘটনা এলাকায় বিরল এবং হতবাক সকলে। পুলিশের তদন্তে সামনে আসছে ধীরে ধীরে আরও তথ্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আত্মহত্যা রুখতে আর্থিক সুরক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির দাবি তুলছেন অনেকে।