কুলতলিঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার ১ নম্বর মধুসুদনপুরে তাস খেলা ঘিরে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, রাতভোর ধরে চলা তাস খেলার আওয়াজ, চিৎকার-চেঁচামেচি ও গালিগালাজে বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক গৃহবধূ। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জগদ্দল কলোনী হাইস্কুলে স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন – মেয়েদের জন্য এক সময়োপযোগী উদ্যোগ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা অনন্ত মণ্ডলের বাড়ির সামনে প্রায় প্রতিদিন রাতভোর বসত তাস খেলার আসর। রবিবার ভোররাতেও একইভাবে তাস খেলতে বসে কয়েকজন যুবক। খেলার মধ্যে বচসা বাঁধে এবং শুরু হয় তুমুল চিৎকার ও গালিগালাজ। এই কোলাহলে বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন অনন্ত মণ্ডলের স্ত্রী নীলিমা মণ্ডল। অভিযোগ, তখনই সরবিন্দু গায়েন নামে এক ব্যক্তি হঠাৎই ধারালো অস্ত্র দিয়ে নীলিমা দেবীর মাথায় আঘাত করে। হঠাৎ আক্রমণে গুরুতর আহত হন তিনি। চিৎকার শুনে বৌদিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অনন্ত মণ্ডলের ভাই শান্ত মণ্ডল। তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশীরা বাইরে বেরোলে তাঁদেরও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
নীলিমা মণ্ডলকে আহত অবস্থায় কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে তার চিকিৎসা করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সরবিন্দু গায়েনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। যদিও পাল্টা অভিযোগ উঠেছে, সরবিন্দুকেও মারধর করেছে স্থানীয়রা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
