
হরিনাভী: চার মাস আগেই শুরু হয়ে গেল হরিনাভী সার্বজনীন দুর্গাপুজা কমিটির শারদোৎসবের তোড়জোড়। পল্লিমঙ্গল সমিতির উদ্যোগে এবার ৫১ তম বর্ষে পা দিচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। এবারের পুজোয় থিম ও প্যান্ডেল সজ্জায় থাকছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। “বাঁশের বাঁধনে মায়ের ঘর, হর্ষে মেতে উঠুক অন্তর”—এই ভাবনায় গড়া হবে এবারের মণ্ডপ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বাঁশ দিয়ে নির্মিত হবে মণ্ডপ, যা একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে নান্দনিকতার ছাপ রাখবে দর্শনার্থীদের মনে।
আরও পড়ুনঃ শতবর্ষের গৌরবে সুভাষিণী বালিকা বিদ্যালয়: এক ইতিহাসের সাক্ষী
প্যান্ডেল নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাঁথির খ্যাতনামা বারিক ডেকরেটার্স ও স্থানীয় হরিনাভী বাসন্তী ডেকরেটার্সকে। আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকছেন বারুইপুরের ঝন্টু ইলেকট্রিক। প্যান্ডেলটি হবে ৬০ ফুট দীর্ঘ ও ৫০ ফুট প্রস্থের। অভ্যন্তরীণ পরিসর থাকবে প্রায় ৭০ ফুট, যাতে ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সরকারি সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনেই পুজোর সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এখন থেকেই ক্লাবের ৩২ জন সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিদিনই ক্লাব প্রাঙ্গণে বৈঠক চলছে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে। তিন সম্পাদক অরণি ঘোষ, রুপম সরকার ও শুভাশিস ঘোষ জানাচ্ছেন, “এবার আমাদের পুজোয় দর্শনার্থীদের জন্য অনেক চমক রয়েছে। থিম, মণ্ডপ ও আলোকসজ্জার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমেও আমরা মানুষকে যুক্ত করতে চাই। এই পুজো শুধু মায়ের আরাধনা নয়, সামাজিক বন্ধনেরও প্রতীক হয়ে উঠুক, সেই চেষ্টাই আমাদের।”
হরিনাভী এলাকার এই দুর্গাপুজো বরাবরই স্থানীয়দের অন্যতম আকর্ষণ। এবার ৫১ তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজনেও থাকবে বাড়তি জৌলুস ও আবেগ। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, করোনা পরবর্তী সময়েও মানুষের অংশগ্রহণে জমজমাট হয়ে উঠবে এবারের শারদোৎসব। প্রস্তুতির শুরুতেই এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন শুধু দিন গোনা—আনন্দের পাঁচটি দিনের অপেক্ষায়।