
কুলতলিঃ কুলতুলিতে বাঘের হামালায় আহত গনেশ শ্যামল আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সমস্যায় পরিবার। আর্থিক অনটনের মধ্যে প্রতিবেশীদের সাহায্যে দিন কাটছে পরিবারের।
আরও পড়ুনঃ সোনারপুরে উদ্ধার বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ বাজি ও মশলা
গনেশ শ্যামলের স্থায়ী কোনও কাজ ছিল না। কখনও কলকাতায় কোনো কাজ পেলে যেতেন আবার কখনও অন্য জমিতে মজুর খাটতেন। বিশেষ প্রশিক্ষন নিয়ে টাইগার টিমের সদস্য হয়েছিলেন। তাই এলাকায় বাঘ বের হলে তার ডাক পড়ত। রবিবার তিনি গিয়েছিলেন মৈপিঠ বৈকুন্ঠপুরের নগেনাবাদ এলাকায়। সেখানেই সোমবার বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হন তিনি। তাকে অন্যান্য বনকর্মীরা উদ্ধার করে প্রথমে কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। গনেশের স্ত্রী ছাড়াও বাড়িতে রয়েছে তিন মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে দিলেও দাবিমত পনের টাকা দিতে না পারায় আপাতত বাপের বাড়িতে জায়গা হয়েছে তার। তার উপর তিনি অন্তস্বত্ত্বা। বাবার এই পরিস্থিতি হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। মেজ মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট মেয়ের বয়স মাত্র ৫। নিজস্ব চাষের জমিও নেই তাদের। কোনওরকমে একটুকরো ভিটে বাড়ি। গনেশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলে তার কর্মক্ষমতা থাকবে কিনা তা নিয়েই চিন্তিত তারা সকলেই।
এই অবস্থায় সবাই গনেশের বা তার পরিবারের জন্য একটি সরকারি চাকরির দাবি জানিয়েছেন তার প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বনদপ্তর ৷ সরকারি আইন মেনে বনদপ্তর এই পরিবারের পাশে আছে বলে বনদপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে।