
সোনারপুরঃ রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর বিশ্বজিত বিশ্বাসের উপর প্রকাশ্য রাস্তায় হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। হামলার ঘটনায় বিশ্বজিতবাবুর পরিবার গভীর আতঙ্কে রয়েছেন। অভিযুক্ত প্রতিবেশী বাপি সরদারের নামে ইতিমধ্যেই সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিশ্বজিত বিশ্বাস ২০০৯ সালে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলর পদে দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর স্ত্রী পুতুল বিশ্বাস পাশের একটি পরিত্যক্ত জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে প্রতিবেশী বাপি সরদার তাঁর উপর চড়াও হয়। সেই সময় প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুনঃবয়স্কদের মুখে হাসি ফেরাতে মায়াপুর ভ্রমণের উদ্যোগ, প্রশংসিত সোনারপুরের সুমন হালদার
কিন্তু পরবর্তী সময়ে, বিশ্বজিতবাবু যখন তাঁর ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসছিলেন, তখন ফের হামলার শিকার হন। অভিযোগ অনুযায়ী, রাস্তায় তাঁকে আটকে রেখে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে বাপি। ওই সময় তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া পুত্র ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। ছেলের সামনেই ঘটে যায় ভয়ানক এই ঘটনা। স্থানীয়রা ছুটে এসে বিশ্বজিতবাবুকে উদ্ধার করেন এবং আরও বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও একাধিকবার বাপির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধে জড়িয়েছিলেন বিশ্বজিতবাবু। ব্যক্তিগত শত্রুতা, নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক হিংসার ছায়া— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি পুরনো বিবাদের ধারাবাহিকতা, নাকি পরিকল্পিত হামলা, সে প্রশ্ন ঘিরেই এখন তদন্তের মূল ফোকাস।
বিশ্বজিত বিশ্বাস ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনার পর প্রবল মানসিক চাপে রয়েছেন। এলাকায় নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন তাঁরা। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। প্রাক্তন কাউন্সিলরের উপর প্রকাশ্যে হামলা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।