ক্যানিং- শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক নিন্দনীয় ঘটনার মাঝেই ফের চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। অভিযোগ, এক বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিনের পর দিন পাঠিয়ে গিয়েছেন অশ্লীল ও আপত্তিকর মেসেজ—তা-ও আবার এক নাবালিকা ছাত্রীকে। অভিযোগ উঠেছে রায়বাঘিনী এলাকার ডি পল হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল লক্ষণ লামার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ আসামি পলায়ন কাণ্ডে চাঞ্চল্য, নদীতে ঝাঁপ দিয়েও ধরা পড়ল ধৃত, কাকদ্বীপে কড়া তদন্তে পুলিস
অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে শনিবার স্কুল থেকেই আটক করে ক্যানিং থানার পুলিশ। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে তোলা হয় আলিপুর আদালতে। বিচারক তাকে এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামীকাল, সোমবার ফের তাকে আদালতে তোলা হবে। পুলিস জানিয়েছে, লক্ষণ লামার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল স্কুলের এক ছাত্রীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দিনের পর দিন আপত্তিকর ও কুরুচিকর বার্তা পাঠাতেন। প্রথমে ভয়ে কিছু না বললেও, পরে ছাত্রীটি পুরো বিষয়টি জানায় তার পরিবারকে। এরপরই ক্ষুব্ধ পরিবার ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। ঘটনার পর রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্কুল চত্বরে তৈরি হয় উত্তেজনা। অন্যান্য অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এক অভিভাবক বলেন, “যিনি শিশুদের শিক্ষার দায়িত্বে, তিনিই যদি এমন ঘৃণ্য কাজ করেন, তাহলে আমরা কীভাবে সন্তানদের নিশ্চিন্তে স্কুলে পাঠাব?”
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাতে বেশ কিছু সন্দেহজনক বার্তা পাওয়া গেছে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে দ্রুত চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঘটনার জেরে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তদন্ত চালাচ্ছে ক্যানিং থানার পুলিস।
