
নরেন্দ্রপুর: সামান্য এক আবদার, আর তারই পরিণতিতে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু। আর কয়েকদিন পর, ২৭শে জুন ছিল জন্মদিন। সেই উপলক্ষে মায়ের কাছে মোবাইল ফোনের আবদার করেছিল অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শুভম ঝা। কিন্তু মা রাজি হননি। অভিমানে ঘরের জানলার সঙ্গে গলায় গামছা বেঁধে আত্মহত্যা করল মাত্র ১৪ বছরের কিশোর।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বোড়ালের মাঝেরপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভম ঝা একটি বেসরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। সে একটি আবাসিক হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। গরমের ছুটিতে কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফিরেছিল। সেই সময় থেকেই মোবাইল ফোন কেনার আবদার করছিল সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ছেলের সেই চাহিদা পূরণ করতে না পারায় অভিমানে ঘরের মধ্যে জানলার সঙ্গে গলায় গামছা বেঁধে আত্মঘাতী হয় শুভম। পরিবারের লোকেরা ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
শুভমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রতিবেশীরা এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর শুনে স্তব্ধ। পরিবারের সদস্যরাও শোকে ভেঙে পড়েছেন।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কিশোর বয়সে মানসিক স্থিতি নরম থাকে। সামান্য বিষয় থেকেও হতাশা গ্রাস করতে পারে। তাই অভিভাবকদের আরও সংবেদনশীল ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি মোবাইল ফোন না পাওয়ার কষ্ট যে এমন এক ভয়ানক পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে, তা ভাবতেই পারছেন না কেউ। শুভমের এই মৃত্যু সমাজের কাছে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেল।