গঙ্গাসাগরঃ গঙ্গাসাগরের ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলিকে ঘিরে এবার তৎপর হল রাজ্য প্রশাসন। সমুদ্রবাঁধ রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে এলেন নেদারল্যান্ডের এক প্রতিনিধি দল। সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতট ও আশেপাশের ভাঙন প্রবণ অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা। বিশেষভাবে কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকাটি পরিদর্শন করেন, যেখানে ভাঙনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বলে প্রশাসনিকভাবে চিহ্নিত।
আরও পড়ুনঃ পুরীর রথযাত্রার প্রস্তুতি তুঙ্গে, ভক্তিময় আবহে সেজে উঠছে জগন্নাথধাম
এই বিদেশি বিশেষজ্ঞ দলটি সমুদ্রের গতিপ্রকৃতি, পলি সঞ্চয় ও জলের ধাক্কার কারণে কোথায় কোথায় কীভাবে ভাঙন ঘটছে, তা পর্যবেক্ষণ করে একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। তাঁরা সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিশদে আলোচনা করে আগামী দিনে এক যৌথ কর্মপন্থা তৈরির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের কাছে একটি প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধানের প্রস্তাব পেশ করবেন। গঙ্গাসাগর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র জানান, “নেদারল্যান্ড জল ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে অন্যতম সফল দেশ। তাই তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি, তবে গঙ্গাসাগরের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এ নিয়ে পরিকল্পনা করছে।”
উত্তাল সমুদ্র ও ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে গঙ্গাসাগরের একাধিক এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই রাজ্য এবার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথে হাঁটছে। এই উদ্যোগে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
