
নরেন্দ্রপুরঃ নরেন্দ্রপুরে এক তরুণ নৃত্যশিল্পীর অকালমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কমল হালদারের (১৮) ঝুলন্ত দেহ মঙ্গলবার তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। একটি ডান্স গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি এবং নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতেন। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। কমল তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন, তবে মঙ্গলবার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অন্যত্র গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ির লোকজন ফিরে এসে দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়।
আরও পড়ুনঃ সৎবাবার বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার সম্ভাবনা উঠে এলেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কমলের মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়। কমল হালদার ছিলেন একমাত্র সন্তান। তার এই অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ পরিবার। বাবা-মায়ের কান্নায় ভেঙে পড়ার চিত্র দেখে স্থানীয়রাও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বন্ধুদের অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, সদা হাস্যোজ্জ্বল কমল আর নেই। এক বন্ধু জানায়, “ও ছিল খুবই মিশুক, সব সময় নাচে মগ্ন থাকত। ওর সঙ্গে এমন কিছু ঘটতে পারে, তা ভাবতেও পারছি না।”
এদিকে, এই রহস্যজনক মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই অকালমৃত্যুর ঘটনায় নরেন্দ্রপুর জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা চাইছেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সামনে আসুক এবং যদি কারও কোনো প্ররোচনা থেকে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পুলিশও জানিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখা হবে এবং উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবে।