
বারুইপুরঃ কাকুকে খুনের ঘটনায় ভাইপোকে আমৄত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনার বারুইপুর মহকুমা আদালত ৷ কাকীমাকেও ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার ঘটনায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ ৷ পরিবারের ছেলের এই সাজায় খুশি অন্যান্য সদস্যরা ৷ এই সাজা দৄষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে দাবি পরিবারের ৷
আরও পড়ুনঃ বেআইনীভাবে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান
বাড়িতে টিউবওয়েল বসানোকে কেন্দ্র করে কাকা ও ভাইপোর মধ্যে ঝামেলা হয় ৷ ঘটনাটি ঘটে বারুইপুর থানা এলাকার রামনগরে ৷ ২০১৭ সালের ১লা মে কাকু গোপাল হালদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক কোপ মারা হয় ৷ তাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন কাকীমা মায়া হালদারও ৷ অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গোপাল হালদারকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে পথেই মারা যান তিনি ৷ এই ঘটনায় তার বড় ছেলে গৌরাঙ্গ হালদার বারুইপুর থানায় শুভঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে শুভঙ্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তাকে আদালতে তোলা হলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও রক্তমাখা পোষাক উদ্ধার করা হয় ৷ অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রেখেই ঘটনার বিচারপর্ব শুরু হয় ৷
এই ঘটনার সরকারি আইনজীবি আব্দুল ওয়াব গাজী জানান মোট ১১ জন এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৷ তাদের সাক্ষী, তদন্ত ও প্রমাণের পরিপ্রেক্ষতি ভাইপো শুভঙ্কর হালদারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ১০ই মার্চ সোমবার ৷ মঙ্গলবার বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক কৄষ্ণেন্দু সরকার এই ঘটনায় সাজা ঘোষনা করেন ৷ আদালতের রায়ে খুশি হালদার পরিবার ৷