কুলতলিঃ কৈখালির নদীবাঁধ রক্ষায় এক অভিনব পরিবেশ সচেতনতার নজির তৈরি হল কুলতলিতে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কৈখালি নদীতীরে এবার গাছ লাগিয়ে পাড় রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কুলতলি থানার পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ফারুক রহমান নিজেই প্রকৃতি প্রেমী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তিনি থানার চত্বরে ইতিমধ্যেই গাছ লাগানো ও পাখিদের আশ্রয় তৈরির কাজ করেছেন। এবার তিনি আরও বড় উদ্যোগে নেমেছেন—কৈখালির নদীর পাড়ে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা নিতে চলেছেন।
আরও পড়ুনঃ কুলতলিতে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি, যোগ দিলেন দেড় হাজারের বেশি বিরোধী কর্মী
২০২০ সালে সাইক্লোন আমফানের ধাক্কায় ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কৈখালির নদীবাঁধ। দীর্ঘদিন বাদে সেই বাঁধ মেরামত করা হয়। এবার যাতে বাঁধ ভেঙে না পড়ে ও এলাকার সৌন্দর্য বজায় থাকে, সেই লক্ষ্যেই গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত। ফারুক রহমানের এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, জনপ্রতিনিধিরাও। নদীর পাড়ে গাছ লাগানো শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। স্থানীয়দের মধ্যে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিক। এই প্রসঙ্গে কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ শাহাদাত শেখ জানান, “বনভূমি রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ নজরদারি চালানো হচ্ছে। কুলতলি ব্লকের অন্তত ২০ হেক্টর জমিতে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ ঘোষ বলেন, “এই কাজটা খুব ভালো। গাছ লাগানো হলে নদীর পাড়টা দেখতে যেমন সুন্দর লাগবে, তেমন পরিবেশের দিক থেকেও উপকার হবে।”
পিয়ালী বিট অফিসের পক্ষ থেকেও বনভূমি সংরক্ষণে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রশাসন, স্থানীয় মানুষ ও পরিবেশপ্রেমীদের এই সম্মিলিত প্রয়াসে কুলতলি ব্লক এবার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে।
