নরেন্দ্রপুরঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার চরকলতায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সায়ন্তিকা মন্ডলের (১৭) দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার বিকেলে এই ঘটনায় রীতিমতো শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগ, ঘটনার সময় ঘরের ভেতরে উপস্থিত ছিল সায়ন্তিকার প্রেমিক কৃ্ষ দাস। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে ফেলতেই সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে চিকিৎসক সায়ন্তিকাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃ্ষ।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, নরেন্দ্রপুরে যুবতীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়ন্তিকার সঙ্গে প্রতিবেশী কৃ্ষ দাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কিছুদিন আগে। তবে কৃ্ষের বিরুদ্ধে আগেও এলাকার একাধিক মহিলার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ ছিল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মহিলাদের দেখিয়ে হস্তমৈথুন করার মতো জঘন্য কাজও সে করত। এ নিয়ে বহুবার কৃ্ষের পরিবারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বুধবার বিকেলে সায়ন্তিকা ও কৃ্ষ ফোনে কথা বলছিল বলে পরিবারের দাবি। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সায়ন্তিকা তার মাকে মেসেজ করে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনের পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেয়। তখন বাবা-মা দু’জনেই কাজে বাইরে ছিলেন এবং ছোট বোনও টিউশনে গিয়েছিল। ফলে বাড়িতে কেউ ছিল না। এক প্রতিবেশী মহিলা প্রথম সায়ন্তিকাকে খাটে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান, তখনই তার পাশেই বসে ছিল কৃ্ষ। এরপরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
এদিকে কৃ্ষের বাবা জানিয়েছেন, “আমার ছেলে যদি দোষী হয়, তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তি হোক।” ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সায়ন্তিকার পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃ্ষকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি চলছে এবং ঘটনার তদন্ত জোরকদমে শুরু হয়েছে। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ সায়ন্তিকার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, কৃ্ষ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছিল, এবার যেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
