বারুইপুরঃ দীর্ঘ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে অ্যান্টি র্যাবিশ ভ্যাক্সিন না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বহু রোগী। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই ভ্যাক্সিন জরুরি হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বারুইপুর হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভে নামে বিজেপির যুব মোর্চা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে, নইলে আন্দোলন চলবে। তাঁদের আরও দাবি, এই অরাজকতার জন্য হাসপাতালের সুপার দায়ী, তাই তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। এই ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চার নেতারা সুপারের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন।
আরও পড়ুনঃ পানীয় জলের সংযোগ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার বারুইপুর পুরসভার
যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির যুব মোর্চার নেতা মলয় চ্যাটার্জি বলেন, “প্রতিদিন এখানে বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন। কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অ্যান্টি র্যাবিশ ভ্যাক্সিন অত্যন্ত জরুরি। অথচ সপ্তাহখানেক ধরে তা নেই, প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা সুপারের কাছে দাবি জানিয়েছি, যতদিন না পর্যন্ত এই সমস্যা মিটছে, আমাদের আন্দোলন চলবে।” বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় অবশ্য সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এই ভ্যাক্সিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সরবরাহ করে। বেশ কিছুদিন ধরে নতুন ভ্যাক্সিন এসে পৌঁছায়নি বলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই ভ্যাক্সিন চলে আসবে এবং সমস্যার সমাধান হবে।”
তবে এই আশ্বাসে আশ্বস্ত নন আন্দোলনকারীরা। তাদের অভিযোগ করেছেন, বারবার ফিরে যেতে হচ্ছে, অথচ হাসপাতালে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এক রোগীর আত্মীয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার ভাইকে কুকুর কামড়েছে, ডাক্তাররা বলছেন ভ্যাক্সিন নিতে, কিন্তু এখানে নেই। বাইরে থেকে কিনতে বলছে, যা খুবই ব্যয়বহুল। সব মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব নয়।” এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেকেই মনে করছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই সংকটের দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। বিজেপি যুব মোর্চা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যতদিন না পর্যন্ত হাসপাতাল যথাযথভাবে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করছে, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দপ্তর কত দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে পারে, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই ৷
