filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; captureOrientation: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (0.42122397, 0.5070082);sceneMode: 512;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 34;
সোনারপুরঃ নীরব বিপদ ক্রমশ এগিয়ে আসছে। সোশাল মিডিয়া হোক বা সমাজের দুষ্টচক্র—ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ছে অন্ধকার ফাঁদে। অল্প বয়সে বিপথে পা ফেলা আজ আর বিরল নয়, বরং ভয়ঙ্কর বাস্তব। এরই মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগের জায়গা—যৌন নির্যাতন। আক্রান্ত শিশুরা অনেক সময়েই চুপ করে থাকে—লজ্জায়, ভয়ে কিংবা যাকে বিশ্বাস করত তার হাতেই আঘাত পাওয়ার যন্ত্রণায়।
এই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে এগিয়ে এসেছে সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতি। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে গড়ে তুলেছে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ—শিক্ষকদের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ। সোনারপুর ব্লকের প্রায় ১৫০টি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে বিশেষ দু’দিনব্যাপী কর্মশালা ও আলাপচারিতা। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য—শিক্ষকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা, কারণ শিক্ষকই পারেন ছাত্রছাত্রীদের মনে পৌঁছাতে, বোঝাতে কোনটা সঠিক আর কোনটা নয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলাই বারিক, সহ-সভাপতি সন্দীপ কুমার দাস, কর্মাধ্যক্ষ সুমন হালদার এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই উদ্যোগকে বাস্তবায়নের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খোলা হয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা নিয়মিত তথ্য আদানপ্রদান করবেন।
এই বার্তা স্পষ্ট — আর একটি শিশুও হারাবে না, আর একটি কণ্ঠও চাপা থাকবে না।
সচেতনতা-ই হোক অস্ত্র,
সোনারপুর হোক উদাহরণ।
