নরেন্দ্রপুর: ঢালাইব্রীজ–কামালগাছি রুটে দীর্ঘদিন ধরে অটোচালক হিসেবে কাজ করতেন ইব্রাহিম হক গাজী। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই তাঁর অকালমৃত্যু পরিবারটিকে নেমে আসে গভীর সংকটে। রোজগারের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিত্যদিনের খরচ চালানোই হয়ে ওঠে কঠিন। এমন অবস্থায় পাশে দাঁড়ালেন ওই রুটের অন্যান্য অটোচালকরা।
সহমর্মিতা ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এই রুটের অটোচালকরা। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ সংগ্রহ করে আজ ইব্রাহিম হকের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল আর্থিক সহায়তা। খুব বেশি টাকা না হলেও, এই সাহায্যে অন্তত কয়েকদিনের জন্য কিছুটা স্বস্তি পেল পরিবারটি। এই প্রসঙ্গে অটো ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি জানান, “ইব্রাহিমদা আমাদের পরিবারেরই একজন ছিলেন। আমরা শুধু রাস্তায় একসাথে অটো চালাতাম না, একে অপরের সুখ-দুঃখেরও সাথী ছিলাম। তাই ওঁর মৃত্যুর পর ওঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।” পরিবারের সদস্যরা এই সহযোগিতায় আবেগাপ্লুত। ইব্রাহিমের স্ত্রী বলেন, “আজকে যেটুকু সাহায্য পেয়েছি, তা শুধু টাকা নয়—এটা ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও সাহচর্যের প্রতীক। আমরা কৃতজ্ঞ।”
এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, শুধুমাত্র একসাথে কাজ করলেই বন্ধুত্ব হয় না, সত্যিকারের বন্ধুত্ব বোঝা যায় কঠিন সময়ে কে কাকে আগলে রাখে, সেই জায়গায়। অটোচালকদের এই মানবিকতার গল্প নিঃসন্দেহে আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।
