
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ মানব সেবার অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে আস্থা যাদবপুর। সমাজের বঞ্চিত, সহায় সম্বলহীন মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এই সংস্থা। আস্থা যাদবপুরের কর্ণধার কাজল দাসের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এক বিশাল কর্মকাণ্ড, যা আজ বহু মানুষের জীবনের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলকাতার কালীঘাটে মায়ের মন্দিরের খুব কাছেই পথবাসী এবং গৃহহীন মানুষদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন আস্থা যাদবপুর। শহরের ফুটপাথে, রেললাইন চত্বরে অথবা খোলা আকাশের নীচে রাত কাটানো মানুষদের জন্য মাথার উপর ছাদ দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয়েছিল এই পথচলা। বর্তমানে কালীঘাট সেন্টারে প্রায় ২৪০ জন মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বালি, উত্তরপাড়া, চুচুড়া ও টিটাগড়ে আরও Shelter Home খুলে সহায় সম্বলহীনদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে আস্থা যাদবপুর।
আরও পড়ুনঃ সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে কড়া নিরাপত্তা, বাড়ল মধুর দাম — মৌলেদের পাশে বনদপ্তর
এই সংস্থার উদ্যোগ শুধু আশ্রয়দানেই সীমাবদ্ধ নয়। বাসিন্দাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সহ পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়ার কাজও করে থাকে তারা। ফলে, এই মানুষগুলো সমাজের মূলস্রোতে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন। শুধু গৃহহীন মানুষদের থাকার জায়গা নয়, স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকেও নজর রেখেছে আস্থা যাদবপুর। সম্প্রতি কালীঘাট সেন্টারে একটি চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রায় একশোর কাছাকাছি বাসিন্দা সেখানে তাদের চোখের পরীক্ষা করান। সংস্থার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, চশমা থেকে শুরু করে চোখের অপারেশনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। নিঃস্ব মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই যেন কাজল দাসের নেতৃত্বাধীন এই সংস্থার প্রধান লক্ষ্য।
এছাড়াও, নিয়মিতভাবে রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, চক্ষু পরীক্ষা শিবির আয়োজন করে আস্থা যাদবপুর। বিশেষ নজর দেওয়া হয় শিশুদের ওপর। স্কুলছুট বা পথশিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার জন্য খাতা, বই, পেন সহ শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তাদের নতুন করে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার পরিবেশ তৈরি করে দেয় সংস্থা। আজ আস্থা যাদবপুর শুধুমাত্র একটি সংস্থার নাম নয় — সহায় সম্বলহীন মানুষদের কাছে এটি এক নির্ভরতার নাম। কাজল দাসের এই উদ্যোগ শুধু সমাজের চোখ খুলে দিয়েছে তা নয়, মানবতার সবচেয়ে বড় পাঠও শিখিয়েছে — মানুষ মানুষের জন্য। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা যাদবপুর সত্যিই হয়ে উঠেছে ‘আস্থা’র প্রতীক।