
বারুইপুরঃ কলকাতায় ডাকাতির ছক কষে বেরিয়েছিল এক সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। তবে পরিকল্পনা কার্যকর করার আগেই বারুইপুর থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তারা। শনিবার রাতে টংতলা এলাকা থেকে সাতজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, তালা ভাঙার সরঞ্জাম, লোহার গ্রিল কাটার যন্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি চার চাকা গাড়ি, যার মধ্যে থেকে অতিরিক্ত নম্বর প্লেট পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির পর গাড়ির নম্বর প্লেট বদল করে পালানোর ছক কষেছিল এই দলটি। পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই বারুইপুর-সহ আশপাশের এলাকায় অপরাধমূলক কার্যকলাপ বাড়ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে টংতলা এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে একটি গাড়ি আটকানো হয়। গাড়ি তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় একাধিক অস্ত্র, ডাকাতির সরঞ্জাম ও ভুয়ো নম্বর প্লেট। এরপরই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সোনারপুর থানায় সায়নকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
ধৃতদের নাম শরিফুল সর্দার, মোজাফফর শেখ, আবু কাশেম মোল্লা, সমীর মাখাল, সাদ্দাম বৈদ্য, প্রণবেশ হালদার এবং রফিকুল শেখ। ধৃতদের মধ্যে চারজনের বাড়ি বকুলতলা থানা এলাকায়, দুজনের বাড়ি কুল্পি থানা এলাকায় এবং একজনের বাড়ি কুলতলী থানার অন্তর্গত এলাকায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃতরা ডাকাতির পর দ্রুত এলাকা ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল। যাতে সহজে শনাক্ত করা না যায়, তার জন্য গাড়ির নম্বর প্লেট বদলের ছক কষে তারা। উদ্ধার হওয়া অতিরিক্ত নম্বর প্লেট সেই পরিকল্পনারই অংশ বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
এই দলটি কলকাতা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।