
সোনারপুর: পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার রাইপুর এলাকায়। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রকাশ্য রাস্তায় এক যুবকের দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হয় ওই ছাত্রী। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে স্কুল ছুটির পর কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল রাইপুরের স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সেই সময় রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল এক যুবক। হঠাৎই সাইকেল থামিয়ে মেয়েটির শরীরে হাত দেয় অভিযুক্ত। অভিযোগ, সে সময় ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে সে।
ছাত্রী ও তার সহপাঠীরা ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার কথা জানতে পেরে ছাত্রীটির পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের নিয়ে ধাওয়া করে। কিছুদূর গিয়ে অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন তাঁরা। স্থানীয়দের সাহায্যে তাকে রাস্তাতেই একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় এবং উত্তেজিত জনতা মারধর করে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তার কুকুরদের খাওয়াতে গিয়ে নৃশংস হামলার শিকার দুই পশুপ্রেমী, নরেন্দ্রপুরে চাঞ্চল্য
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনারপুর থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে শিশুর প্রতি যৌন অপরাধ প্রতিরোধ আইনের (POCSO Act) অধীনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ছাত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে তদন্তকারীরা। স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবক এলাকায় মাঝেমধ্যেই ঘোরাফেরা করত। আগেও মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে এত বড় ঘটনা এই প্রথম। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।এই ঘটনায় চরম উদ্বেগে স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেক অভিভাবকেরা স্কুল শেষে ছেলেমেয়েদের একা বাড়ি ফেরানো নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এলাকায় টহল বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
সোনারপুর থানার এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্যাতিতার পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিরাপত্তা প্রশ্নে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে স্থানীয়দের সক্রিয়তায় অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ, যা স্বস্তি দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবারকে।