
সোনারপুরঃ সোনারপুর থানার অন্তর্গত সোনারপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জামাকাপড় মেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা থেকে শুরু হয়ে তা রূপ নেয় ভয়াবহ হামলায়। অভিযোগ, এক গৃহবধূর কান টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অঞ্জলি মণ্ডল নামে এক মহিলা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্জলি দেবী গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে কাঠপোল এলাকায় গৌতম মণ্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। পাশেই ভাড়া থাকেন সুচিত্রা মণ্ডল নামে এক মহিলা। অভিযোগ, সেই সুচিত্রাই আচমকা হামলা চালান অঞ্জলি দেবীর উপর। অঞ্জলি দেবী নিজে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুচিত্রা তাঁর কান টেনে ছিঁড়ে দেয় এবং পায়েও কামড় বসায়।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক কৃতী অভ্রদীপকে সম্বর্ধনা বিধায়ক লাভলী মৈত্রর, ডাক্তারির স্বপ্নে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশ্বাস
ঘটনার সময় অঞ্জলিদেবীর স্বামী মানস মণ্ডল বাড়িতে ছিলেন না, তিনি কাজে বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তখন ছিলেন তাদের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে। মায়ের ওপর এমন হিংসাত্মক হামলা হতে দেখে সে আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে অঞ্জলিদেবীকে উদ্ধার করেন এবং থানায় খবর দেন। আহত অবস্থায় অঞ্জলিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগ, এই প্রথম নয়—সুচিত্রা মণ্ডল আগেও একাধিকবার অঞ্জলিদের পরিবারের উপর চড়াও হয়েছেন। দুই পরিবারের মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত। বিষয়টি একাধিকবার বাড়িওয়ালাকেও জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান মেলেনি।
অঞ্জলিদেবীর পরিবারের তরফে অভিযুক্ত সুচিত্রার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। তাঁরা বলছেন, “এভাবে দিনের পর দিন হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এবার যদি প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা না নেয়, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।