কাকদ্বীপঃ কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে থেকে পালাল এক আসামি। রবিবার বিকেলে মেডিকেল করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিসি হেফাজত থেকে চম্পট দেয় ধৃত। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের গেটের সামনে পৌঁছতেই পুলিশের নজর এড়িয়ে দৌড় দেয় সে। আতিপাতি খোঁজাখুঁজির মধ্যেই জানা যায়, ওই আসামি কালনাগিনী নদীতে ঝাঁপ মেরেছে। মুহূর্তে গোটা এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুনঃক্যানিংয়ে নাবালিকা ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ, আটক স্কুল প্রিন্সিপাল
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে চুরির অভিযোগে কাকদ্বীপ থানার পুলিস তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। শুক্রবার আদালত তাদের তিন দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেই মতো রবিবার বিকেলে ধৃতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি থেকে নামার সময়েই ঘটে চমকপ্রদ এই ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন জানা জানান, “হঠাৎ করে লোকটা দৌড়তে দৌড়তে কালনাগিনী নদীতে ঝাঁপ দেয়। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন ছুটে আসে।” ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাকদ্বীপ পুলিসের পাশাপাশি হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা তল্লাশি শুরু করে। শেষপর্যন্ত দুই ঘণ্টার মাথায় ময়নাপাড়া এলাকা থেকে ফের তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ ব্যানার্জি বলেন, “পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় একটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায়।” ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিসি হেফাজতে থাকা আসামিরা কীভাবে নিরাপত্তার ফাঁক গলে পালাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিস।
