
সোনারপুরঃ হুশেন শা এর রাজত্বকালের সোনারপুরেই তৈরি হয়েছিল রাধাকৃষ্ণের মন্দির ৷ যার বয়স ছশো বছরেরও বেশী পুরানো ৷ সোনারপুরের প্রাচীন ইতিহাস ঘেঁটে যা পাওয়া গিয়েছে তা হল হুশেন শা এর রাজত্বকালের প্রথমদিকে ভুড়িপুকুরের পাশে তৈরি হয়েছিল রাধাকৄষ্ণের এই মন্দির ৷ জমিদার দুর্গারামকর চৌধুরি ১৪৯৭ খ্রীষ্টাব্দে এই মন্দির নির্মান করেন ৷ এই মন্দির তখন থেকেই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল ৷
আরও পড়ুনঃ শিবরাত্রির আগে সেজে উঠেছে সোনারপুরের একমাত্র ১২ শিবের মন্দির
দীর্ঘদিন ধরে মন্দির ঠিক থাকলেও ১৬৫০ সাল থেকে মন্দির ক্ষয়তে শুরু করে ৷ তখন এলাকার বাসিন্দারা পুকুরের পাশে একটি মাঠে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করেন ৷ এরইমধ্যে ১৯৬৪ সালে মন্দির থেকে চুরি হয়ে যায় রাধিকার মুর্তি ৷ তখন অবশ্য দেশ স্বাধীন হয়ে গিয়েছে ৷ এলাকার বাসিন্দারাই নানানভাবে চেষ্টা চালিয়ে উদ্ধার করেন সেই মুর্তি ৷ সেইসময় স্থানীয় বাসিন্দারা বসে ঠিক করেন যতদিন না মন্দির নতুন করে তৈরি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত পুরোহিত প্রভাত চক্রবর্তীর বাড়িতে থাকবে রাধাকৄষ্ণের মুর্তি ৷ পরবর্তীকালে জেলা পরিষদের সহায়তার ও মন্দির কমিটির চেষ্টায় নতুন রুপ পেতে চলেছে মন্দিরটি ৷ প্রায় দেড় বছর ধরে দক্ষ শ্রমিকদের চেষ্টায় তৈরি করা হয়েছে এই মন্দির ৷ সুসজ্জিত এই মন্দিরে রাধাকৄষ্ণের নতুন মুর্তিদান করবেন এলাকার বাসিন্দা কেয়া লাহিড়ী ৷
নবরুপে সজ্জিত এই মন্দিরের সামনে থাকছে দুটি মিনিমাস লাইট, মন্দিরের সামনে ও দুদিকে বসার জায়গা ৷ পেছনের দিকে থাকছে অফিসঘর, স্নানাগার ও ভোগঘর ৷ মন্দির জুড়ে রয়েছে রংবেরংয়ের মানানসই আলোকসজ্জা ৷ আগামী ২রা মার্চ রবিবার এই মন্দিরের দ্বারোদঘাট করা হবে ৷