
সোনারপুরঃ সিনকুন সাউথ অভিযানে যাওয়ার পথে হিমাচলপ্রদেশের ছিকা গ্রামে সোনারপুর আরোহীর পাঁচ সদস্যের অভিযাত্রী দল ৷ মঙ্গলবার বিকেলেই তারা পৌঁছে যায় ৷ পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার ও বৄহস্পতিবার তাদের এখানেই থাকার কথা ছিল ৷ এখানে একটি মেডিকেল ক্যাম্পও করার কথা ছি্ল ৷ কিন্তু বাধ সেধেছে প্রকৄতি ৷ আবহাওয়ার পুর্বাভাস অনুযায়ী ব্যাপক স্নোফল হচ্ছে এরফলে কার্যত গৄহবন্দী রয়েছেন তারা ৷ তবে অভিযাত্রীদলের প্রত্যেকেই ভালো ও সুস্থ আছেন বলে ওয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানান তারা ৷ ২৮শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত স্নোফলের পুর্বাভাস রয়েছে ৷ তাই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলনেতা রুদ্রুপ্রসাদ হালদার ৷ তিনি আরও জানান বিআরও অর্থাৎ বর্ডার রোড অর্গানাইজেশান রাস্তা পরিষ্কার করলে তারা সড়ক পথে অভিযানের উদ্দেশ্যে কিছুটা এগোতে পারবেন ৷ কিন্ত রাস্তা পরিষ্কার করতে দেরী হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে তারা ঘোড়ায় করে এগনোর পরিকল্পনাও করে রেখেছেন ৷ তবে সবটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর বলে জানান তিনি ৷
আরও পড়ুনঃ হিমাচলপ্রদেশের ছিকা গ্রামে পৌঁছাল সোনারপুর আরোহীর পর্বতারোহী দল
মঙ্গলবার সকালেই মানালি থেকে বের হয়েছিলেন সোনারপুর আরোহীর পাঁচ সদস্যের এই অভিযাত্রী দল ৷ প্রথমে তারা যান কেলংয়ে ৷ কেলংয়ে ডিসি অফিস ও পুলিশ সুপারের অফিসে নিয়মানুযায়ী সমস্ত তথ্য জমা করা হয় ৷ তারপর ছিকা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুরো টিম ৷ ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় এই গ্রাম এই পথের শেষ গ্রাম ৷ এখানেই দুদিন থাকার কথা রয়েছে তাদের ৷ আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প ও এখানকার ছোটছোট বাচ্ছাদের হাতে খেলার সরঞ্জাম তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের ৷ ছিকা গ্রামের কমিউনিটি সেন্টারে আপাতত তারা থাকছেন ৷ এখানেই মেডিকেল ক্যাম্প করা হবে ৷
রুদ্রপ্রসাদ হালদার ছাড়াও এই অভিযানে রয়েছেন সোনারপুর আরোহীর আরও চার সদস্য ৷ তারা হলেন রাহুল হালদার, চিকিৎসক উদ্দীপন হালদার, দেবাশিস মজুমদার ও অরুনাভ সাঁপুই ৷ সোনারপুর আরোহীর এবারের লক্ষ্য শীতকালীন অভিযানে সফল আরোহণ করা ৷ দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার জানান এই অভিযান সফল হলে শীতকালীন অভিযানে আগ্রহ আরও বাড়বে ৷ সাধারণত ২১শে ডিসেম্বর থেকে ২১শে মার্চের মধ্যে কোনও পর্বতের বেসক্যাম্প থেকে শৄঙ্গে আরোহন করে আবার বেসক্যাম্পে ফেরত এলে তা শীতকালীন পর্বতারোহনের মধ্যে পড়ে ৷ জানা গিয়েছে দক্ষিণ দিকের দেওয়াল ধরে পশ্চিম গিরিশিরায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের ৷