
সোনারপুরঃ মাতঙ্গিনি সেবাশ্রম ৷ এইনামেই পরিচিত সকলের কাছে ৷ সোনারপুর থেকে ঘটকপুর যাওয়ার রাস্তায় প্রসাদপুর বাজারের পেছন দিকে এই মন্দিরের অবস্থান ৷ এই এলাকাতো বটেই দুরদুরান্তের বহু মানুষের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত এই মন্দির ৷ সম্স্ত বিপদ থেকে মা তাদের উদ্ধার করেন ৷ আজও ভক্তিভরে প্রতিদিন মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয় ৷
আরও পড়ুনঃ শিবরাত্রির আগে সেজে উঠেছে সোনারপুরের একমাত্র ১২ শিবের মন্দির
এলাকার বায়স্ক বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে ৬৫ বছরেরও পুরানো এই মন্দির ৷ অনেকেই জানালেন অন্ধকার নামলে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পেতেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ মা এতটাই জাগ্রত ছিলেন যে রাতের অন্ধকারে কেউ আর এদিকে আসতেন না ৷ সেসব অবশ্য অনেকদিন আগেকার কথা ৷ মাঠের মধ্যে তখন ছিল মা কালির মন্দির ৷ রোজ ভক্তি ভরে পুজো করতেন গ্রামবাসীরা ৷ রাস্তার পাশে ১৯৭৬ সালে বসল বাজার ৷ ক্রমশ জনবসতিও বাড়তে শুরু করল ৷ ব্যবসায়ীরা ঠিক করলেন নতুন মন্দির তৈরি করবেন ৷ মন্দিরের জন্য জমি দান করলেন এলাকারই বাসিন্দা পরিতোষ মন্ডল ৷ শুরু হল নতুন মন্দির তৈরির কাজ ৷ ২০০৩ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ একইসাথে এই মন্দিরে আছেন শিবদুর্গা, রাধাকৄষ্ণ, রামসীতা ও লক্ষণ, শিব, পার্বতী, গনেশ ও হনুমানজী ৷ অন্যান্য মন্দিরের মত প্রতিদিন দুবেলা নিত্যপুজা যেমন রয়েছে তার পাশাপাশি শিব চতুর্দশী, ভাতৄদ্বিতীয়ার আগের দিন বাগবাজারের মত অন্নকুট, জন্মাষ্টমী ও রথযাত্রা পালন করা হয় অত্যন্ত ধুমধাম করে ৷
বুধবার শিব চতুর্দশী ৷ তার জন্য বিরাট আয়োজন করা হয়েছে ৷ মন্দির কমিটির দাবি শিবরাত্রির দিন সোনারপুর তো বটেই আশেপাশের ভাঙড়, ক্যানিং, চম্পাহাটি এলাকা থেকে বহু ভক্ত আসেন ৷ দুদিন ধরে চলে নারায়ণসেবা ৷