
সোনারপুরঃ মানুষের কাছে ১২শিবের মন্দির হিসেবেও এর পরিচিতি ৷ তবে একইসাথে দুর্গা, কালি, শিব, রাধাকৄষ্ণ, মা মনসার পুজো হয়ে থাকে নিত্যদিন ৷ রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপুরের এই মন্দির এই এলাকার প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক-বাহক ৷ এখনও প্রতিবার দুর্গাপুজো, কালিপুজো, শিবরাত্রি এলেই এখানে ঢল নামে মানুষের ৷ দুরদুরান্ত খেকে পুজো দিতে আসেন বহু মানুষ ৷
আরও পড়ুনঃ মানলি থেকে অভিযানের উদ্দেশ্যে রওনা দিল সোনারপুর আরোহী
মন্দিরের ভিডিও দেখতে লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ https://youtu.be/kRj4oAT-M-A?si=RokVWbY84YrH77_Q
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে এর শুরুটা ছিল অন্যরকম ৷ তখনও এই জায়গায় মানুষের বসবাস ছিল না বললেই চলে ৷ একটা সময় এই মন্দিরের পাশেও ছিল আদি গঙ্গার অস্তিত্ব ৷ চারিদিক তখন জঙ্গল ও জলাভুমিতে পরিপুর্ণ ছিল ৷ আজকের জনবহুল লস্করপুরের সাথে যার কোনও মিলই নেই ৷ সেইসময় এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বর্গীয় সুনীল কুমার রায় ৷ যিনি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ মানিকতলা ব্রীজের কাছে ছিল তার ব্যবসা ৷ ব্যবসায়ী হলেও ঠাকুর ও সংগীতের প্রতি তার ঝোঁক ছিল ৷ তার স্ত্রী রেখা দেবীও ছিলেন ভক্তিমতি মহিলা ৷ ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই মন্দির ৷ প্রতিদিন একইসাথে সবার পুজো হত ৷ শুধু তাই নয় ঠাকুরকে ভোগ দেওয়ার রীতি ছিল প্রথম থেকেই ৷ সেই ভোগ খেতে বহুদুর থেকে আসতেন অনেকেই ৷ শুরুতে সব ঠিকঠাক থাকলেও বর্তমানে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে মন্দিরের বেশ খানিকটা অংশ ৷ বাকি অংশটুকু ধরে রাখতে মরিয়া বর্তমান প্রজন্ম ৷ তবে আর্থিক সমস্যার কারণে তা ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা ৷ তাই এই মন্দিরের রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন তারা ৷
দুর্গা, কালিপুজোর পাশাপাশি শিবরাত্রির দিনেও এই মন্দিরে ভিড় জমান বহু দর্শনার্থী ৷ এমনটাই জানালেন স্থানীয় পৌরপিতা সুশান্ত দাস ৷এই মন্দিরের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে পুরানো ইতিহাস, যা বহন করছে প্রাচীন ঐতিহ্যকে ৷ তবে কতদিন এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করা যাবে তা নিয়েই সন্দিহান রায় পরিবার ৷ তাই মন্দির রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আবেদন তাদের ৷